কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী মৃত এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ১৯৯৪ সনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা গাইটাল ডুবাইল এলাকার মোঃ ফরিদ মিয়া কাছ থেকে তিন দাগে মোট ছয় শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে তা রেজিষ্ট্রিও করা হয়। এছাড়া নুরুল ইসলাম ফরিদ মিয়ার বড় ভাই অহিদ মিয়ার কাছ থেকে এক শতাংশ জমি কিনেন। তিন দাগে (১৪৪৯৪,১৪৪৯৫,১৪৪৯৬) কিশোরগঞ্জ মৌজায় মোট সাত শতাংশ জমি ক্রয় করেন তিনি।
নুরুল ইসলামের স্ত্রী হেলেনা খাতুন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, জায়গা কিনা কিছুদিন পর তিনটি দাগের মধ্যে ১৪৪৯৪ দাগে তিন শতাংশ জায়গা আমার স্বামী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে বুঝাইয়া দেন ফরিদ মিয়া। আর বাকি দাগের জায়গা বুঝিয়ে দেয়নি এখনো। এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ উকিলবারে একাধিক দেন-দরবার হয়েছে। এমন কি এ ব্যাপারে একাধিকবার থানায় সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছে কিন্তু কোন ফল আসেনি। এ পযর্ন্ত জায়গা বুঝাইয়া দিবে বলে নানান তালবাহানা করে ঘুরাচ্ছে ফরিদ মিয়া। ২০১২ সালে এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম মারা যান। নুরুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর তার পরিবার আর্থিক দুর্ভোগে পরলে তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন, ফরিদ মিয়াকে জমি বুঝিয়ে দেবার কথা বললে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হোন তিনি। মানুষের ধারে ধারে ঘুরলেও এখন পর্যন্ত হেলেনা খাতুন তার স্বামীর কেনা জমির জায়গা বুঝে পাননি তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন বলেন, হেলেনার স্বামী মরে যাবার পরও ফরিদ মিয়া হেলেনাকে এ পর্যন্ত জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে তাকে ফরিদ মিয়া হয়রানি করে আসছেন। তারা আরও জানান, আসলে ফরিদ মিয়া এলাকার একটি বড় ভূমিদুস্যু চক্রের সাথে জড়িত। তারা সাধারণ মানুষের জায়গা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দরবার সাজিয়ে টাকা পয়সা খায়। এখন হেলেনা খাতুনও এমন বিপাকে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদ মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি জায়গা বুঝিয়ে দিতে চাই। কিন্তু সে তা বুঝে নেয় না। এতে আমার কোন দোষ নেই।