বুধবার , ৬ জুলাই ২০২২ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরও
  5. ইসলাম
  6. করোনাভাইরাস
  7. খাদ্য
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সর্বশেষ

নিকলীতে আ.লীগের সভাপতির কান্ড – অসহায়দের জমি জোরপূর্বক দখল

প্রতিবেদক

জুলাই ৬, ২০২২ ১:০৯ অপরাহ্ণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে একাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে জোরপূর্বক আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রভাবশালী ও দামপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী আকবরের বিরুদ্ধে। পূর্ব পুরুষের ওই দখলীয় জমি দলীয় ক্ষমতার দাপটে জবর-দখল করেন আওয়ামী লীগ নেতা। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা সামাজিকভাবে কোথাও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। তার ভয়েও কেউ মুখ খুলতে চায় না বলে জানান তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র ও অসহায় রইছ উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলামের ৮ শতাংশ, হাসান আলীর ছেলে নূরুল ইসলামের ২০ শতাংশ ও একই গ্রামের মাছু শেখের ছেলে মো. সেলিমের ৫ শতাংশ জবর-দখল করে নেয় ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি মো. আলী আকবর। এলাকায় বিচার চাইলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতির ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ সালিশেও বসতে আসে না। এখন তাদের জমি উদ্ধারের জন্য তারা ধারে ধারে ঘুরছেন বলে জানান তারা।
ভুুক্তভোগি রইছ উদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলাম কান্নার সুরে বলেন, দাদার আমল থেকে দামপাড়ার মৌজার ১৪৮৬ দাগের ৮শতাংশ জমি সাফ কাওলা মূলে আমরা ভুগদখলে আছি। বাবা মারা যাবার পর হঠাৎ মো. আলী আকবর তার দল-বল নিয়ে অবৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে জবর দখল করে নেয়। তার ভায়া দলিল অফিসে তল্লাশী করলে জাল প্রমাণ মিলে। তাপরও ক্ষমতার দাপটে জমি দখল ছাড়ে না। অফিস আদালত যেন তার সবেই কিনা। এখন কোথায় এর বিচার পাইবো।
একই গ্রামের ভুক্তভোগি হাসান আলীর ছেলে নূরুল ইসলাম বলেন, দামপাড়া মৌজার ১০৭৮ দাগে আমার জায়গার সাথে মো. আলী আকবর ৫ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে আমার ২০ শতাংশ জমিও সে জোর দখল করে নেয়। এখন আমরা কিভাবে তার কাছ থেকে জমি উদ্ধার করবো। একই অভিযোগ করেছেন  একই গ্রামের মাছু শেখের ছেলে মো. সেলিম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দামপাড়া ইউনিয়নের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মো. আলী আকবরের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় জাল-জালিয়াতির একটি চক্রের সাথে জড়িত। তার একদিকে টাকা আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ দলের ক্ষমতা। গত ১০ বছরে এলাকায় বহু অসহায় মানুষের ফসলি জমি, মানুষের বসবাসের শেষ সম্বল বসতভিটা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আলী আকবর জানান, কাগজপত্র সঠিক হওয়ায় আমি জমি ক্রয় করেছি, তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা দলিল তৈরি করে আমার মানহানী করছে। এছাড়া সাংবাদিকদের অন্য কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজী নয় বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - Uncategorized