কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। বাজিতপুর ও নিকলী নিয়ে গঠিত এই উপজেলা সংসদীয় আসনে সব রাজনৈতিক দলই এখন ব্যস্ত নিজেদের ঘর গোছাতে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা নিজ নিজ এলাকায় ঘন ঘন যাতায়াত করে নির্বাচনী মাঠ সরগরম করছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকার সর্বত্রই রাজনীতির টেবিলে চলছে একই আলোচনা- কেমন হবে নির্বাচন? কোন প্রার্থী মনোনয়ন পেলে কেমন হবে? কার মাধ্যমে এলাকায় উন্নয়ন করা বেশি সম্ভব, কোন প্রার্থী নির্বাচিত হলে মানুষ শান্তিতে থাকবে-এসব হিসাব-নিকাশ নিয়েই চলছে এলাকার ভোটারদের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ চষে বেড়াচ্ছনে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো.শামছুল আলম। তিনি এখন থেকেই এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে নতুন কমিটি গঠন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির নেত্রীবৃন্দকে সঙ্গে করে জাতীয় পার্টির বাজিতপুর উপজেলা কমিটি ও পৌর সভার নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও নির্বাচনি এলাকা নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিটিসহ নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছন।
একান্ত স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি এলাকার মাঠে-ঘাটে কাজ করে যাচ্ছি। আমি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, আমি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আইনী সেবাসহ জনগণের কাজ করে যাচ্ছি। আমি যেভাবে এলাকার লোকজনের সাথে কাজ করছি আমার বিশ্বাস সাধারণ ভোটারগণ আমাকে আসন্ন নির্বাচনে নিরাশ করবেন না। আমি কথা দিচ্ছি জাতীয় পার্টি থেকে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে পল্লীবন্ধু হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের স্বপ্ন “৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে” একথাটি বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাবো। এবং বর্তমান জাতীয় পার্টির যোগ্য চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের ৫ বারের নির্বাচিত এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক চুন্নুর হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়বো। জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে নিকলী-বাজিতপুর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্হ্য, কৃষি খাতের উন্নয়ন, গ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ একটি ডিজিটাল এলাকায় রুপান্তির করবো ইনশাআল্লাহ।