বিনোদন ডেস্ক .
এই প্রজন্মের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী সুরকার গীতিকার মিউজিক কম্পোজার ও ভিডিও নির্মাতা স্বাধীন বাবু। তার সংগীতের প্রেরণা দেশ বরেণ্য কন্ঠ শিল্পী মনির খান।
১৯৯৫ সালে যশোরের সুরবিতান সংগীত একাডেমিতে তাকে ভর্তি করেন স্বাধীন বাবুর বড় বোন সুমি আফরোজ। তিনি সংগীতে হাতেখড়ি গুরু রইস উদ্দিনের কাছ থেকে।এর পর শিক্ষা গুরু মাহ্ফুজ আহমেদ,শেখ ফারুক হোসেন, শরিফুল ইসলাম, রেখা বিশ্বাস ও প্রয়াত বাবু গোলক চন্দ্র বর্মন এর কাছে তিনি ক্লাসিকাল সঙ্গীতের দীক্ষা নেন। ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে মফস্বল সংগীতে তার শক্ত দৃঢ় অবস্থান।
১৯৯৬ সালে দুই গীতিকার সুমি আফরোজ ও নজরুল ইসলাম দুলাল এর ১২টি গান নিয়ে স্বাধীন বাবুর সুরে “নবীন সুর” অনুষ্ঠান টি অনেক আলোড়ন সৃষ্টি ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
এর পর মফস্বল সংগীত ছেড়ে চলে আসেন ঢাকায়। বাংলাদেশের মিডিয়াতে তার পথচলা তখন থেকেই শুরু হয়।
এই প্রজন্মের তরুণ কণ্ঠশিল্পী স্বাধীন বাবু কোটি কোটি সঙ্গীত প্রেমী ভক্ত শ্রোতার হৃদয় জয় করে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাঁর যাদুকরী কণ্ঠের মাধুর্য আর হৃদয় ঘেঁষা প্রতিভাদীপ্ত মধুময় সুরের মূর্ছনায় সঙ্গীতপ্রেমী বাঙ্গালী বিশেষ করে এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের হৃদয়ে পাকাপোক্ত আসন গেড়ে বসেছেন।
সময়ের সাহসী সন্তান যশোরের ছেলে কবি,গীতিকার,সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক,কণ্ঠশিল্পী ও ভিডিও নির্মাতা স্বাধীন বাবু।
তিনি শিশুকাল থেকেই সঙ্গীতের প্রতি বিশেষ অনুরাগী ছিলেন। সে সময় স্কুলের পড়ালেখার পাশাপাশি সঙ্গীত,বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়েন।
সংগীত জগতে সুপ্রতিষ্ঠিত গানপাগল এই মানুষটি ১৯৮৪ সালের ২৪শে মে যশোর শহরের বজপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সঙ্গীতের পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা ও সাহিত্য সেবাতেও তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে যশোর জেলাসহ অন্যান্য জেলা ও বিভিন্ন শহরে সঙ্গীত ও সাহিত্যচর্চায় বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা থেকে অনেক পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯৫ সাল থেকেই শুরু হয় তাঁর সঙ্গীত জীবনের নতুন অধ্যায়। তাঁর প্রতিভার উজ্জ্বলতা দেখে সাহিত্যসেবী বড়বোন তাঁকে ঢাকায় সুরবিতান সঙ্গীত একাডেমিতে ভর্তি করে দিলে শুরু করেন কঠিন সঙ্গীত আরাধনা,ক্রমেই বাড়তে থাকে তাঁর পরিপক্বতা। ২০১০ সালে সেখান থেকেই তিনি অর্জন করেন ডঃ মুহম্মদ মনিরুজ্জামান পদক।
২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বিটিভিতে গান গেয়ে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই তাঁর সুনাম ও পরিচিতি চারদিকে ছড়িয়ে পরতে শুরু করে। দেশের অডিও ভিডিও নির্মাণে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান “মাই সাউন্ড” তথা “সাউন্ডটেক” এর প্রযোজনায় তাঁর গাওয়া আটটি গান নিয়ে প্রকাশিত হয় প্রথম একক এলবাম “কেন তুমি জাতির পিতা”। এলবামটি চারিদিকে বিপুল হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। উল্লেখ্য যে এই আটটি গানের মধ্যে সাতটি গানই ছিল তাঁর নিজের লেখা। এলবামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এবং এটিই মূলতঃ তাঁর সঙ্গীতজীবনের অন্যতম একটা Turning point ছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পী স্বাধীন বাবু। এই গানগুলো এখনও জাতীয় শোকদিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবসে সারাদেশে বাজানো হচ্ছে।
ব্যাস,আর পেছনে তাকাননি তিনি,শুধু সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। তাঁর সঙ্গীত ও সংগীত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেক অনেক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তাঁর সাক্ষাৎকার ও বিভিন্ন ফিচার প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। বিটিভি,মোহনা টিভি,Channel 9,Channel 16,My tv সহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশনে তাঁর বিভিন্ন গান প্রচারিত হয়েছে। শিল্পী স্বাধীন বাবু’র নিজস্ব অনলাইন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “Channel Dot” Production. এর ব্যানারে তাঁর নিজের কথা,সুর,সঙ্গীত,কণ্ঠ ও ভিডিও নির্মাণে অনেক গান প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় বিভিন্ন YouTube Channel এ রিলিজ হয়েছে এবং হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর নিজের কথা,সুর,সঙ্গীত,ও ভিডিও নির্মাণে গান গেয়েছেন দেশের প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় শিল্পী আলম আরা মিনু,ক্লোজআপ খ্যাত শিল্পী সালমা,অভিনেতা ও শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু সহ অনেক নবীন প্রবীন জনপ্রিয় শিল্পীগণ যা তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠান Channel Dot Production এর ব্যানারে রিলিজ হয়েছে এবং কিছু রিলিজের অপেক্ষায় আছে। তিনি নিজেই এসব গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ ও পরিচালনা করেছেন। এসব মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন প্রতিষ্ঠিত এবং কিছু নতুন একঝাঁক তরুণ-তরুণী। নেট দুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক,গল্পকার,ঔপন্যাসিক নির্বাসিত আলোচিত সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন কে নিয়ে শিল্পী স্বাধীন বাবু তাঁর কথা,সুর,সঙ্গীত, কণ্ঠে ও ভিডিও নির্মাণে “তুমি হার না মানা বহ্নিশিখা” এবং “ফিরে এসো তসলিমা নাসরিন” শিরোনামে দু’টি গান রিলিজ করেছেন। গান দুটি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া ও নেট দুনিয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শিল্পী স্বাধীন বাবু হার না মানা একজন সৎসাহসী সংগ্রামী বিপ্লবী মানুষ। অন্যায় অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠে সোচ্চার একজন স্বাধীনচেতা মানুষ তিনি। মানবতার ফেরিওয়ালা ও একজন কণ্ঠযোদ্ধা। আমার দীর্ঘদিনের সাহিত্যচর্চায় তিনি আমার অন্যতম একজন অনুপ্রেরণার পাত্র। অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা সংগ্রাম পেরিয়ে আজ সঙ্গীত জগতের পরিপক্ব ও সুপ্রতিষ্ঠিত স্ব,প্রতিভায় জ্বলজ্বলে উজ্জ্বল নক্ষত্র রূপে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি। তাঁর পদচারণায় বাংলাসংগীতে সোনালী অধ্যায় ফিরে আসবে, অধিষ্ঠিত হবে এক অনন্য উচ্চতায়। বহু প্রতিভাবার অধিকারী,সৎসাহসী,প্রতিবাদী,মানবতাবাদী,মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার আদর্শের ধারক বাহক এই কণ্ঠশিল্পী স্বাধীন বাবু। স্বাধীন বাবুর কথা সুরে গেয়েছেন ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা মৌসুমি আক্তার সালমা (মনের নাগর),বাংলাদেশের কালজয়ী কণ্ঠশিল্পী আলম আরা মিনু (চন্দ্রআতারা) ও (তুই কইরা গেলি কি যে ক্ষতি), বাংলাদেশে বারবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতা ও কন্ঠ শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু।