রবিবার , ২৭ মার্চ ২০২২ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরও
  5. ইসলাম
  6. করোনাভাইরাস
  7. খাদ্য
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সর্বশেষ

হাওরে বেড়েছে ভুট্টা চাষ, কৃষকের চোখে নতুন স্বপ্ন

প্রতিবেদক

মার্চ ২৭, ২০২২ ১:৩৩ অপরাহ্ণ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
চলতি বছর হাওর অঞ্চলে বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। কৃষকরা এখন ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর লাভের মুখ দেখায় এবছর তারা ব্যাপকভাবে ভুট্টা চাষ করেছেন।

ধান চাষে প্রতিবছরই আগাম বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হন হাওরের কৃষকরা। তখন মহাজনের দেনা পরিশোধে কৃষক হয়ে পড়েন দিশেহারা। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। উঁচু ও পতিত জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে। ফলে পাল্টে যাচ্ছে কৃষকের জীবন-জীবিকা ও চাষাবাদের ধরন।

হাওরের অলওয়েদার পথ ধরে গেলেই চোখে পড়ে মাঠের পর মাঠ সবুজ ভুট্টা খেত। দেখেই মনে হয় সবুজ ভুট্টা বাতাসের দোলায় কৃষকের সফলতার স্বপ্নগুলো হেসে বেড়াচ্ছে। অপেক্ষা শুধু ফসল ঘরে তুলে, লাভের অংক গোনা। ভুট্টা চাষে খরচ কম, পরিচর্যাও তেমন লাগে না, কিন্তু লাভ প্রায় তিনগুণ। এজন্য কিশোরগঞ্জের হাওরে ভুট্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহ বাড়ছে। বোরো মৌসুমে ধান আবাদে খরচ এবং ঝুঁকি দু’টোই বেশি। এদিকে ভুট্টা চাষে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই।

বন্যায় হাওর অঞ্চলে ধান চাষে ঝুঁকি থাকলেও ভুট্টা চাষে তেমন ঝুঁকি নেই। বর্ষার পূর্বেই কৃষকরা ভুট্টা ঘরে তুলতে পারে। ভুট্টা চাষে কমবেশি লাভ থাকে। আর তাই আর্থিকভাবেও এগিয়ে যাচ্ছে এখানকার কৃষক।

মিঠামইন হাওরের ভুট্টা চাষি খোকন চন্দ্র দাস বলেন, আমিই প্রথম এখানে ভুট্টা চাষ শুরু করি। পরে লাভের মুখ দেখায় প্রতি বছর আবাদ বাড়াচ্ছি। বর্তমানে আমাকে দেখে অনেক কৃষক ভুট্টা চাষ শুরু করেছেন। এটি লাভজনক একটি ফসল। তা ছাড়া, জমি পড়ে থাকার চেয়ে ভুট্টা চাষ করে অনেক কৃষক তাদের পরিবার নিয়ে এখন ভালো আছেন।

এদিকে ভুট্টা চাষ লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় স্থানীয় অনেক কৃষক আগামীতে ভুট্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

মিঠামইন হাওরের আরেক কৃষক রজমান মিয়া বলেন, আমি কখনো ভুট্টা চাষ করিনি। কিন্তু প্রতিবছরই দেখছি আমাদের হাওরে ভুট্টার আবাদ বাড়ছে। তাই আগামীতে আমিও ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। আর তাই নিয়মিত কৃষি অফিসেও যোগাযোগ করছি।

মিঠামইন উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আমরা বরাবরই কৃষকদের ভুট্টা চাষে প্রণোদনা দিয়ে আসছি। ভুট্টা চাষে লাভ বেশি, খরচ কম। তা ছাড়া, জমি পড়ে থাকার চেয়ে আমরা কৃষকদের চাষে আগ্রহী করছি। এতে তারাও অনেক বেশি লাভের মুখ দেখছেন। ভুট্টার ফলন ঘরে উঠাতেও আমরা বিভিন্ন কাটার মেশিন তাদের বিনামূল্যে হস্তান্তর করেছি। আশাকরি এবছরও অধিক ফলনের মুখ দেখবেন এখানকার ভুট্টা চাষিরা।

প্রসঙ্গত, গত বছর মিঠামইন উপজেলায় ১ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর ভুট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ায় ২ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ফসলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ হেক্টর।

সর্বশেষ - Uncategorized