শনিবার , ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরও
  5. ইসলাম
  6. করোনাভাইরাস
  7. খাদ্য
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সর্বশেষ

আবারও অভিযোগ উঠেছে কটিয়াদী ইউএনও অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদক
tulpar
ডিসেম্বর ৬, ২০২৫ ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ):
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী ইউএনও অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এনামুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগ উঠেছে।
এবার এক সাংবাদিকের পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন কালে অশোভন, অসৌজন্যমূলক ও দায়িত্ব-জ্ঞানহীন আচরণের অভিযোগে এনামুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে গত ১৯ নভেম্বর বুধবার (অভিযোগের স্বাক্ষরের নীচে ভুলবশত ২০ নভেম্বর তারিখ উল্লেখ করা হয়) কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন দৈনিক বাংলাদেশের খবর কটিয়াদী উপজেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। তিনি দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার কটিয়াদী উপজেলা প্রতিনিধির পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ জেলা গণ অধিকার পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, গত ১৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে তার পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে পত্রিকা দেওয়ার জন্য প্রবেশ করেন। পত্রিকা দেওয়া পর তিনি দ্রæত অফিস ত্যাগ করেন। কিন্তু অফিসের বাইরে বের হওয়ার পর ওই অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এনামুল ইসলাম খান ওই সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে আনসার সদস্যদের প্রকাশ্যে অশালীন ও অশ্লীল ভাষায় তাদের অপমান করেন এবং সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে কেন অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন ও শ্বাসান। মিজানুর রহমান আরো বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন দায়িত্বহীন ও অপেশাদার আচরণ শুধু আনসার সদস্যদের মর্যাদা ক্ষুণœ করেনি, বরং এটি প্রশাসনিক শিষ্টাচার, নাগরিক অধিকার এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতার পরিপন্থী। এ ধরনের আচরণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও জনআস্থা নষ্ট করার দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, অভিযোগ দাখিলের প্রায় তিন সপ্তাহ হলেও এ ঘটনার কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হতাশায় ভুগছেন তিনি। শুধু তাই নয় জেলা প্রশাসক মহোদয় এনামুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দায়িত্বহীন আচরণের সাহস কর্মকর্তাদের মধ্যে বেড়ে যেতে পারে বলে দাবী করে আরো বলেন, এটি প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও জনস্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।”

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় এনামুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ ফেব্রæয়ারী ভৈরব থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকায় “ফলোআপ” এনামুলের খুঁটির জোর কোথায়? শিরোনামে ও ওই সালের ৪ মার্চ সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকায় “নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ভৈরবে একই চেয়ারে একযুগেরও বেশি সময় দ্বায়িত্বে রয়েছেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম খান” শিরোনামে এবং একই বছরের ৫ অক্টোবর সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকায় “জরুরী দুদকের তদন্ত প্রয়োজন” একই কর্মস্থলে ১৬ বছর কাটিয়েছেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল, করছেন সরকারি টাকা হরিলুট শিরোনামে একটি “ফলোআপ” সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় থেকে ওই সালের ৪ নভেম্বর ০৫.৪১.৪৮০০.০১৪.০৭.০০১.১৮ (অংশ-৫) ৪৫১ নম্বর স্মারকমৃলে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংস্থাপন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কলিম উদ্দিন এর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এনামুল ইসলাম খানকে জেলার কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে বদলী করা হয়।
এ আদেশের পর ওই বছরের ৯ নভেম্বর সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকায় “অবশেষে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল বদলী, জমমনে স্বস্তি” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দিন ১০ নভেম্বর সকালে তিনি ভৈরব থেকে বিদায় নিয়ে ভৈরব কর্মস্থল ত্যাগ করে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। এর পর ১৬ নভেম্বর সাপ্তাহিক দুর্জয় দরশন পত্রিকায় “একই কর্মস্থলে ১৬ বছর কাটানোর পর বদলী” বিদায় নিলেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল- শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার দূর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপর থেকে সাংবাদিক দেখলেই ক্ষিপ্ত হয়ে সে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করতে থাকে।

এব্যাপারে ৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযুক্ত মো. এনামুল ইসলাম খানের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমানের সাথে তার তেমন কিছুই হয়নি। পরে বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এনামুল ইসলাম খান এর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও চাকুরি বিধি অনুযায়ী ৩ বছর পর পর বদলীর নিয়ম থাকলেও একই কর্মস্থলে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে চাকুরি করায় এনামুল ইসলাম খানকে ঘিরে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিলো একই কর্মস্থলে থাকার নেপথ্যে রহস্য কি ? স্বার্থ কিংবা লাভই বা কি তার ? আবার অনেকের প্রশ্ন ছিলো এনামুল ইসলাম খানের খুঁটির জোর কোথায়? কেননা এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কিসের ক্ষমতায় বহাল তবিয়তে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে একই চেয়ারে প্রায় ১৬ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ? এ নিয়ে সন্দেহের তীর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দিকেও ছিলো।

সরকারি চাকরিতে একই স্টেশনে ৩ বছরের অধিক সময় থাকার বিধান না থাকলেও এনামুল ইসলাম খান তৎকালীন সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বদলি শাখার কতিপয় অসৎ কর্মকর্তাকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে একই স্টেশন ভৈরবে খুঁটি গেড়ে বহাল তবিয়তে টিকে ছিলেন দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর।

মো. এনামুল ইসলাম খান কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের খাংগাইল গ্রামের মো. ফাইজুর রহমান খান ও মোছা. খুজিস্তা আক্তার খানমের পুত্র। সে গত ২০০৯ সালের ১৩ জুলাই সার্ট মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। পরে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে একই চেয়ারে দীর্ঘ ১৬ বছর কর্মরত থাকা অবস্থায় কর্মবণ্টনে বৈষম্য অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন, এমন অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে গত ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ ছাড়াও উপজেলা কার্যালয়ে দৈনিক হাজিরায় নিয়োগপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলী ও দর্পণ হরিজন এর নামে সম্পূর্ণ বেতন বিল করে অর্ধেক পরিশোধ করে বাকি অংশ আব্দুর রাজ্জাক মিয়াকে ওয়েব পোর্টাল হালনাগাদের জন্য বেতন হিসেবে দেওয়ায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আরো একটি লিখিত অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী।
এ ছাড়াও জনগণকে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে অভিনব কৌশলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার অভিযোগে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে শামীম আলম নামে জনৈক এক ব্যক্তি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর গত ২০২৩ সালের ৫ মার্চ আরো একটি লিখিত অভিযোগ করেন। একই জায়গায়
১৫ থেকে ১৬ বছর যাবত চাকরি করার সুযোগে ইউএনও’র নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ কয়েল ফ্যাক্টরি, ইটভাটা, চানাচুর, বিস্কুট, অবৈধ প্রসাধনী, হাসপাতাল, তেল ফ্যাক্টরি হতে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে মাসিক একটি অংকের টাকা আদায় করে ঘুষ বাণিজ্য চালানোরও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও বিশেষ দিবসগুলোতে চাঁদা আদায়ের নামে তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেছিলো এক ভুক্তভোগী। এছাড়াও ভ‚য়া ভাউচার তৈরি করে অফিসের টাকা নয় ছয় করারও অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

অল্প টাকা বেতনে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেট কর্মচারী ক্লাবের বাসায় ভাড়া থেকে প্রতিদিন অফিসে আসা যাওয়া, ছেলে মো. ইয়ামিন খান আদিয়ান (১২) ও মোছা. ফারহানা খানম মুন (৮) কে শহরের নামী দামি স্কুলে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে পড়ানো এবং স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪৩) এর নামে ও সালকের নামে একাধিক স্থানে জায়গা সম্পত্তি ক্রয় করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। এছাড়া স্ত্রী একজন গৃহিনী হওয়া সত্তে¡ও তার নামে ইনকাম টেক্স এর ফাইল খুলে ও ব্যাংক ব্যালেন্স করে আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিলো এনামুল ইসলাম খান। বিভিন্ন তত্ত¡ সূত্রে জানাযায়, সে একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি হয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। যা দুদক কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে আরো অজানা বহু তত্ত¡ বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন অনেকে।
আরো জানা যায়, গত ২৩ সালের ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সোনালি ব্যাংক লি. ভৈরব শাখা থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করে সে। এছাড়া তৎকালীন ভৈরব উপজেলার বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে ১৭ লাখ টাকা দিয়ে যান। এত টাকা কোথায় কোথায় খরছ করেছে তার সঠিক তথ্য অজানা। তবে অনেকের প্রশ্ন এনামুল ইসলাম খানের খুঁটির জোর কোথায়?

সর্বশেষ - সর্বশেষ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কিশোরগঞ্জে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সভাপতি নিহত

ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পাবেন প্যানেল চেয়ারম্যান

একাদশে দুই পরিবর্তন, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে অনিয়ম: ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে ইসির ব্যবস্থা

গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রধান শিক্ষকের পুর্ণবহালের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান

ফেসবুকে প্রেম-বিয়ে, শেষ হলো মৃত্যুতে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন ও সংশোধন আসছে বিভিন্ন ধারায়

বাংলাদেশের হার না–মানা এক ক্রিকেটার লিখছেন ‘দ্বিতীয় জীবনের’ গল্প

তাড়াইলে কৃষকলীগের ৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত