কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি দলটি এদেশে হঠাৎ করেই উড়ে এসে জুড়ে বসেনি, বরং দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এ জায়গায় এসেছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় যে নেতাকে নির্যাতন করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল, সেই নেতাই নতুন করে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এখন নতুন সুযোগ এসেছে তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার। তাই সবাইকে বিএনপির পাশে দাঁড়াতে হবে। শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখে করে বলেন, নানা নির্যাতন-নিপীড়ন করেও বিএনপিকে বিলীন করতে পারেনি ফ্যাসিস্ট শক্তি।আর কোন দিন পারবেও না।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ৪৭ বছরের পুরোনো দল বিএনপি। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে এ দল গঠিত হয়েছে। আজ যে গণতন্ত্রের কথা সবাই বলছে, সেই গণতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপনও করেছেন তিনি। তাই যে কোনো নেতার নামে ¯েøাগান নয়, ¯েøাগান হবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলমের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, প্রধান বক্তা যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেলসহ জাতীয় ও স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বিএনপিকে ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রকে উড়িয়ে বলেন, বিএনপি হলো ফিনিক্স পাখির মতো, এ দলকে ভাঙ্গার নানান ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু কোনোটি সফল হয়নি, বরং ষড়যন্ত্রকারীরাই পালিয়ে গেছে। এ সময় তিনি আরও বলেন, একাত্তরে ভিন্ন অবস্থানে থাকা দল এমনকি যাদের কালকে জন্ম হয়েছে তারাও আজ বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। এটি কাম্য নয়।
দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে চলছিল জেলা কাউন্সিলদের ভোট গ্রহণ।

 
                    







 
                                     
                                     
                                    








