কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
চতুর্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের তিন (করিমগঞ্জ, বাজিতপুর ও হোসেনপুর) পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তুষজনক। এদিকে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম এনে নির্বাচন বর্জন করে বাজিতপুর পৌরসভার বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. এহেসান কুফিয়া। রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বাজিতপুর থানার মোড় সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা প্রদান, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।
অন্যদিকে নির্বাচন বর্জনের পর পরই আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আশরাফ বিএনপির প্রার্থী নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচনে পরাজয় হবে জেনে দুদিন আগেই তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নীলনকশা সাজিয়ে রেখেছিল। সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য তিনি আগের দিনই তার বাড়িতে ডেকোরেশন করে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। তিনি আরও বলেন, পৌরবাসি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে জনগণ তাদের বয়কট করেছে বলেই আর কোনো সুযোগ না পেয়ে অযথা মিথ্যাচার করছে।
সরেজমিনে বাজিতপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা গেছে। নারী-পুরুষ দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করছেন। কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা দীপ্তিময়ী জামান বিএনপির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, এ ধরনোর কোনো অভিযোগ পাইনি। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। ভোটাররা অবাধে ভোট প্রদান করছেন। এছাড়া বাকি দুই পৌরসভা করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর নির্বাচনে তেমন কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত তিন পৌরসভায় ভোট গুনণা চলছিল।
Leave a Reply