আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
স্বল্প সুদের হার এবং দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের ডেবট মার্কেট থেকে ৪৭১ মিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) উপাত্ত থেকে জানা গেছে,গত পাঁচ মাসে এ বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন তারা।
বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, স্থানীয় স্থির আয়ের বাজার থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে দরপতনের ফলে কম উৎপাদনশীল সরকারি বন্ড ও ট্রেজারি বিল বিদেশিদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে না। এসবিপি মার্চের মাঝামাঝি থেকে ঋণের নীতিমালার হার ৬২৫ ভিত্তিক পয়েন্টের ৭ শতাংশ কমিয়েছে।
বিএমএ ক্যাপিটালের নির্বাহী পরিচালক সাদ হাশেমি বলেন, অব্যাহতভাবে সুদের হার কমার ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে বাজার লাভজনক মনে হয় না। এ কারণে তারা পাকিস্তানের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে।
এসবিপির বরাত দিয়ে নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পয়লা জুলাই থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাজারে ট্রেজারি বিল এবং বিনিয়োগ বন্ডের মতো সরকারি সিকিউরিটিগুলো মোট ২০৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ গ্রহণ করেছে। ওই সময়কালে বিদেশিরা ২৬৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বিল এবং বিনিয়োগ বন্ডের নিট বিক্রয়কারী হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার পদক্ষেপ হিসেবে ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে স্টেট ব্যাংক মুদ্রানীতি আরও কঠোর করবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত।
তারা জানিয়েছে, ট্রেজারি বিলে ৭ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বন্ডে ৮-১০ শতাংশ পতন এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতিবাচক এবং জিরো ইনটারেস্ট রেটের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়। বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা, মার্কিন ডলারের তুলনায় রুপির মূল্য-এগুলো পাকিস্তানের বাজারে বিদেশিদের প্রলুব্ধ করবে না।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিদেশিরা ১ জুলাই থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ৯০ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের স্থানীয় মুদ্রা বন্ড কিনেছিল। এ ছাড়া স্বল্পমেয়াদী যন্ত্রপাতি থেকে ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিষ্পত্তি করেছিল।
এ বিষয়ে আরেক বিশ্লেষক বলেন, আমরা কেবল নভেম্বর মাসে ট্রেজারি বিল থেকে দরপতন দেখেছি। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ মাসে ট্রেজারি বিল এবং বিনিয়োগের বন্ড উভয়ই ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করে।
Leave a Reply