নিকলী প্রতিনিধি.
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে টাকার বিনিময়ে আদালতে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী মামলার বাদী মো. মোরাদ চৌধুরী। সে শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সামনে মোরাদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ঘটনা সত্য থাকার পরও আমার মামলার আসামীদের সাথে গোপনে আতাত করে অর্থের বিনিময়ে তাদের পক্ষে মামলার প্রতিবেদন দেন উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল রহমান খান। তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মামলার বাদী, আসামী, স্বাক্ষীদের ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা সদরের ষাটধার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসে মামলার তদন্ত করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাা ও বানোয়াট। প্রকৃত পক্ষে ওই জায়গায় না বসে তার অফিসে আসামীদেরকে নিয়ে অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে আসামীদেও পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
নিকলী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল রহমান খানের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি অর্থ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি সরেজমিনে তদন্ত করে বাদী ও আসামী এবং স্বাক্ষীদের জবান বন্ধী নিয়েই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেছি।
উল্লেখ্য, উপজেলা সদরের দক্ষিনহাটি চৌধুরী বাড়ির মৃত রহিম উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মো. মোরাদ চৌধুরীর কাছে গাভী কিনে ব্যাবসা করবে বলে একই এলাকার পূর্বগ্রামের যোগীহাটির মৃত মমিন মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তার (৪৬) এক লাখ টাকা চান। এ সময় স্বাক্ষীগণের সামনে রিনাকে এক লাখ টাকা দেয় মোরাদ চৌধূরী। কিছুদিন পরেই একলাখ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে রিনা। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিসও হয়। কিন্তু ঘটনা সমাধান না হওয়ায় মোরাদ চৌধুরী গত ২০ জুলাই রিনা আক্তারসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদনের জন্য নিকলী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল রহমান খানের কাছে পাঠায়। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন করেন তিনি।
Leave a Reply