প্রেমে পড়া থেকে শুরু করে শারীরিক সম্পর্ক, সার্বিকভাবে সামাজিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অক্সিটিসিন হরমোন, যা সাধারণত ‘লাভ হরমোন’ নামে পরিচিত। বিগত ৩০ বছর ধরে এমনই ধারণা প্রচলিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় লাভ হরমোন সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যার মাধ্যমে অক্সিটোসিন হরমোনের লাভ হরমোন নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, প্রেইরি ভোল নামক এক প্রাণীর ওপর অক্সিটোসিন হরমোন প্রয়োগ করে একটি গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রেইরি ভোল আদতে ইদুরের একটি বিশেষ প্রজাতি। মূলত উত্তর এবং মধ্য আমেরিকায় এই প্রাণীটিকে দেখা যায়। এই প্রাণীর ওপরে অক্সিটোসিন হরমোন প্রয়োগ করে বিশেষ গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা।
সেই গবেষণায় দেখা যায়, প্রেম, শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তান প্রতিপালনের জন্য অক্সিটোসিন হরমোনের সাহায্য নিতে হচ্ছে না প্রিইরি ভোলকে, যা দেখে হতবাক হয়ে যান গবেষকরা। এই ঘটনা অবাক করার মতো বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সহ-অধ্যাপক মানোলি।
তাহলে কি লাভ হরমোন নিয়ে প্রচলিত ধারণা মিথ্যা? সাম্প্রতিক গবেষণার ভিত্তিতে লাভ হরমোনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, আমাদের জীবনে লাভ হরমোনের বিশেষ কোনো ভূমিকা নেই।
গবেষকদের মতে, প্রেম থেকে শুরু করে শারীরিক কিংবা সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়াটাই অত্যন্ত জটিল। এর সঙ্গে অক্সিটোসিন হরমোনের পাশাপাশি জিনেরও বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এই জটিল প্রক্রিয়ার কেবল অংশমাত্র অক্সিটোসিন বা লাভ হরমোন।