কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানিতে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী আলহাজ¦ নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের আপিল মঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ যাচাই-বাছাইয়ে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করার কারনে প্রথমে মনোনয়ন স্থগিত ও বিকেল ৫টার পরে তা বাতিল ঘোষণা করেন।
এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও এ আসনের বর্তমান সাংসদ মজিবুল হক চুন্নু এর আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী বাতিলের বিষয়টি নিয়ে চলছিল এলাকা জুড়ে তোলপাড়। টানা ১৫ বছর কিশোরগঞ্জ-৩ আসনটি মহাজোটের দখলে। প্রতিবার লাঙ্গলের কারণে নৌকা হটানোর বিষয়টি এক ধরনের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দল থেকে নৌকার মনোনয়ন পেয়েও বাতিল হওয়ায় পুনরায় আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। এ ছাড়া তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দ্বায়ীত্বে ছিলেন। সংসদ সদস্য হতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিল করার সময় চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আপিলও করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে ঋণখেলাপী আখ্যা দিয়ে ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিলে তিনি উল্লেখ করেন, রূপালী ব্যাংকের পুরানা পল্টন করপোরেট শাখা থেকে ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণের বিপরীতে গ্র্যান্টার মুজিবুল হক চুন্নু দীর্ঘদিন খেলাপি আছেন। তিনি কীভাবে এমপি মনোনয়ন পেলেন? তার মনোনয়ন আইন মোতাবেক বাতিলযোগ্য। তিনি আপিলে আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট গোপন করে মনোনয়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করেছেন চুন্নু। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে ইসি।
এ বিষয়ে নৌকার মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ বলেন, সব ষড়যন্ত্রের কড়া জবাব দেওয়া হবে নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে। আপিলে আমি আমার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি, সত্যের জয় হয়েছে। করিমগঞ্জ-তাড়াইল মূলত আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে ঘাপটি মেরে থাকা জাতীয় পার্টি এবার নির্বাচনে জামানত হারাবে।