কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
কিশোরগঞ্জের ইটনায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭২ বস্তা চাল এবং ট্রলারসহ তিন মাঝিকে আটকের ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে উপজেলার বাদলা বাজার এলাকা থেকে চালগুলো আটক করা হয়। আটককৃত নৌকার মাঝিরা হলেন, মৃগা ইউনিয়নের আব্দুর রহিম কাজী এর ছেলে আজহারুল ইসলাম লেলিন (৪০), এখলাছ মিয়ার ছেলে নিয়ামুল মিয়া (২৪), আজিজুল মিয়ার ছেলে সাইদুল মিয়া (১৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাড়াইল বাজারে চাল পাচারের সময় বাদলা পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ চাল জব্দ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত চালগুলোর ডিলার হলেন ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের জানু মিয়া। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ওএমএস লাইসেন্স সংগ্রহ করেন। ওই লাইসেন্সের আওতায় তিনি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত নিয়মে গরিব মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে চাল বিতরণ না করে তিনি সহযোগীদের নিয়ে চাল অন্যত্র পাচারের চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে জানতে ডিলার জানু মিয়াকে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।
ইটনা উপজেলার উপখাদ্য পরিদর্শক সজল সরকার জানান, আটক চাল এবং বস্তাগুলো সরকারি ওএমএসের। তবে বস্তাগুলো হাতে সেলাই করা ছিলো।
ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান, চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ডিলারের বিরুদ্ধে রেগুলার মামলা রুজু করা রাতেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর ইকবাল জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৭২ বস্তা চালসহ একটি ট্রলার আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে র্কোটের মাধ্যমে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েক জন রয়েছে বলে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
















