শনিবার , ২৩ জুলাই ২০২২ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরও
  5. ইসলাম
  6. করোনাভাইরাস
  7. খাদ্য
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সর্বশেষ

সুস্থ থাকতে যা করতে হবে: ডা. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী

প্রতিবেদক

জুলাই ২৩, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আসিফ কাজল
ডা. মো. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী। সহযোগী অধ্যাপক (মেডিসিন)। মেডিসিন বিষয়ে আমেরিকা থেকে নিয়েছেন একাধিক উচ্চতর ডিগ্রী। বর্তমানে কর্মরত আছেন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। নানা রোগ ও চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সঙ্গে কথা বলেছেন। সুস্থ থাকতে দিয়েছেন নানা নির্দেশনা। তবে এই চিকিৎসকের মতে এখন দেশে একটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হবে। সেটি হলো ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক বৃদ্ধি। অনেক রোগীই চান তার কথা ডাক্তার ভালভাবে শুনবেন, মাথায় হাত দিয়ে খোঁজ নিবেন।

ডা. মো. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী: এখন এটি আমাদের বড় একটি সমস্যা। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ডেভোলপ করছে অযাচিত সেবনের ফলে। কেউ তিনদিন খেয়ে এটি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এর ফলে জীবানুগুলো মানুষের শরীরে থেকেই যাচ্ছে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে ইনফেকশন হলে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকি। এই ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। পা থাকে মাথা পর্যন্ত যেকোনো জায়গায় ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করতে পারে। তবে সব কিছুর সমাধান এক অ্যান্টিবায়োটিকে তা কিন্তু নয়। আমাদেরকে প্রধানত নির্ণয় করতে হয় ইনফেকশনটা কোথায় হয়েছে ও কি ধরণের ইনফেকশন হয়েছে। রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার আগে একটু ধারণা রাখতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকরাই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। তবে আমাদের দেশের এখনো সেভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়ন্ত্রণ গড়ে উঠেনি। কারণ আমাদের দেশে এখনো জনসংখ্যা অনুপাতে চিকিৎসক সংখ্যা কম। এছাড়াও গ্রামগঞ্জে পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মেসীর দোকানীরা রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন। যেকারণে সাময়িক উপকার একজন রোগী পেলেও ভবিষ্যতের জন্য এটি মারাত্মক হুমকি হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: রোগীদের অভিযোগ রোগ নির্ণয়ে দেশের চিকিৎসকদের কি কোনো গাফিলতি আছে? যেকারণে প্রতিবছর কয়েক লাখ মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন।

ডা. মো. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী: স্বাস্থ্যসেবা নির্ভর করে টোটাল হেলথ কেয়ার ফ্যাসিলিটিজ এর উপর। এটা শুধুই ডাক্তারের বিষয় নয়, এরমধ্যে ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যকর্মী, ইনডোর আউটডোর সর্বপোরী চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্ক। আমাদের দেশে এখনো সাত হাজার মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক রয়েছে। যেকারণে প্রতিটি রোগীকে ঠিকমত পর্যবেক্ষণ করার সময় ও সুযোগ পাওয়া যায়না। এটা কিন্তু নিয়ম নয়। প্রকৃত ট্রিটমেন্ট এর জন্য একজন ডাক্তারকে রোগীর সব কথা শুনতে হয়, রোগ নির্ণয় করতে হয় এবং রোগ ও রোগীকে চিনতে হয়। তবে আগে আমরা দেখতাম অনেক রোগী দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে যেত তবে এখন সে সংখ্যা অনেক বেশি কমে এসেছে। আগে যে যে ট্রিটমেন্ট এখানে হতো না এখন আমাদের দেশেই এসব রোগের চিকিৎসা হচ্ছে। তবে চিকিৎসক হিসেবে সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই এখন ডাক্তার-রোগীর রিলেশনশিপ নতুন করে তৈরি হচ্ছে। দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা আধুনিকায়ন হয়েছে। তবে এটি ঠিক উন্নত বিশ্বের অনেক চিকিৎসা আমাদের দেশে এখনো শুরু হয়নি। সেক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতিতে আমরা কোনো কোনো রোগীকে বিদেশে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে অনেকে না বুঝে বিদেশ চলে যায় পরবর্তীতে দেখা যায় তার কোন রোগও ধরা পড়েনি। এমন ঘটনাও অহরহ ঘটছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: গর্ভকালীন সময়ে নারীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। এসময় তারা কি ধরনের ওষুধ সেবন করতে পারবেন?

ডা. মো. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী: ওয়ার্ল্ড ফার্মাকোলজি ছাড়াও আরো কিছু সংগঠন আছে। এসব সংগঠন গর্ভবতী নারীদের জন্য কিছু ড্রাগ অনুমোদন দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ কোন ক্যাটাগরীর ওষুধ তাকে দেয়া যাবে। একে সাধারণত আমরা এ, বি,সি, ডি এভাবে আমরা চিহ্নিত করে থাকি। বর্তমানে শুধুমাত্র এ এবং বি ক্যাটাগরীর ওষুধ গর্ভবতী নারীদের দেয়া হয়। অর্থাৎ একজন সাধারণ রোগী ও গর্ভবতী নারীদের ওষুধের ক্ষেত্রে অবশ্যই পার্থক্য আছে। তাই কোন কারণেই যেকেনো ওষুধ নিজের মতো করে খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: কোভিডকালীন সময়ে কি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সাধারণ ওষুধ গ্রহণ করা যাবে?

ডা. মো. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী: কোভিডকালীন সময়ে সারা বিশ্ব এখনো আক্রান্ত। একজন রোগী যদি আমাদের কাছে জ্বর নিয়ে আসে সঙ্গে শরীর ও মাথাব্যথা থাকে তবে আমরা তো চিন্তা করবোই তিনি কোভিড আক্রান্ত কী না। একারণে কিছু টেস্টও আমরা দিয়ে থাকি। কিন্তু জ্বর মানে এই নয় রোগী নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া শুরু করলো। জ্বর নানা কারণেই আসতে পারে। জ্বরকে বলা হয় রোগের উপসর্গ। এ জন্য অবশ্যই তাকে রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে কারো যদি জ্বর আসে সেক্ষেত্রে নাপা বা প্যারাসিটামল খাওয়া যেতেই পারে। এছাড়া সর্দি থাকলে এন্টিস্টামিন আমরা দিয়ে থাকি।

বাংলাদেশ জার্নাল: একে তো করোনা মহামারী এর উপরে শীতের আগমনের সাথে সাথে বাড়ছে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা। এ বিষয়ে করণীয় কি?

ডা. মো. মাহমুদুর রহমান সিদ্দিকী: প্রতিবছর বর্ষা বা শীতের শুরুতে কমন ফ্লু হয়ে থাকে আমাদের। শীতে যেনো এই ধরণের রোগে কেউ না ভুগে এজন্য যারা এর পেশেন্ট আছেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে। যেমন কারো যদি কোনো রোগ আগে থেকেই থাকে তবে তাকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করা। এছাড়া ঠান্ডা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। তবে অনেকে যেটা করেন রোগ শুরু হলেই ঘরোয়া টোটকা নিয়ে থাকেন। আমি মনে করি এক্ষেত্রে প্রথমেই ডাক্তারের কাছে আসতে হবে। পরবর্তীতে এমন দেখা যায় অনেকে রোগ পুষে রেখে এমন অবস্থায় এসেছেন যার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।

সর্বশেষ - Uncategorized