কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি.
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আবু বকর (৫৭) নামে এক কৃষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক থাকায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। গতকাল শনিবার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, আবু বকরের ছেলে বায়েজিদ (৩০) বাদী হয়ে বাবুল, রিসাদ, পারভেজ ও রিসাদের বাবাকে আসামি করে শনিবার মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এসআই রাসেলকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচরের বীর কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসিনা বেগম কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁকে দেখার জন্য দুই ছাত্র ও ছাত্রী রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে যায়। পথে এলাকার কয়েক তরুণ ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। ঘটনাটি তারা শিক্ষক হাসিনাকে জানালে তিনি প্রতিবেশী কৃষক আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে জানান।
রিসাদের বাবা আলম মিয়ার কাছে এ ব্যাপারে নালিশ করেন আনিছা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে গালাগাল শুরু করে। এ সময় তাঁর স্বামী আবু বকর প্রতিবাদ জানালে তাঁকে মারধর করে। পরে তাঁকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুলিয়ারচর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। আবু বকরকে হত্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী রাতেই তিন তরুণের বসতঘরে আগুন দিয়েছে বলে জানা গেছে।
রামদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন জানান, হামলাকারীদের বয়স ১৭ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। আসামি রিসাদের বাবা চাল ব্যবসায়ী আলমের (৫৫) কাছে আবু বকরের স্ত্রী বিচার দেওয়ায় ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। সে কারণে আলমকেও আসামি করা হয়েছে বলে তাঁর ধারণা। ঘটনার পর তিনি এবং পুলিশ সুপার কৃষকের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন।


















