শুক্রবার , ২ ডিসেম্বর ২০২২ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরও
  5. ইসলাম
  6. করোনাভাইরাস
  7. খাদ্য
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. বানিজ্য
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর: উদ্বোধন হচ্ছে ৩০ প্রকল্পের

প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২, ২০২২ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি.
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সফরে এসে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। একইসাথে আরও চারটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনও করবেন তিনি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে তিনটি প্রকল্প। তা হল ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২ নং পোল্ডারের ভাঙনপ্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প ও বাঁশখালী উপজেলার ৬৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১সি পোল্ডারের সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত)।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাধারণ শাখার দায়িত্বে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের লালদীঘি মাঠে নির্মিত ৬ দফা মঞ্চসহ চট্টগ্রামের ১৮টি স্কুল–কলেজ ভবনের উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে আধুনিক জাতিসংঘ পার্ক এবং মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণসহ ৪টি প্রকল্পের। কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, ফটিকছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং রাউজান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এছাড়া কোতোয়ালী থানাধীন দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসার একটি ৬ তলা ভবন এবং সীতাকুণ্ড টেকনিক্যাল স্কুলে একটি ৫ তলা ভবন ও একটি ৪ তলা প্রশাসনিক ভবন, ওয়ার্কশপ, একতলা সার্ভিস এরিয়া ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে কোতোয়ালী থানাধীন গুল–এ জার বেগম সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ১০ তলা একাডেমিক ভবন, কুসুমকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, পূর্ব বাকলিয়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, মীরসরাই উপজেলার করেরহাট কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, পাঁচলাইশ থানাধীন বন গবেষণাগার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা ভবন, বোয়ালমারী উপজেলাধীন হাজী মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন, সন্দ্বীপের সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন এবং ডবলমুরিং থানাধীন সরকারি সিটি কলেজে ১০ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হবে।

এছাড়া উদ্বোধন করা হবে পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন সমপ্রসারণ এবং খুলশী থানাধীন সিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের সমপ্রসারণ কাজ।

উদ্বোধন করা হবে নৌ–পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘দুইটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন (প্রতিটি ৫০০০ বিএইচপি/ ৭০ টন বোলার্ড পুল) টাগবোট সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্প ও ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড এবং টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রী সেদিন একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি–আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান স্থাপন প্রকল্প, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশে জেটিসহ আনুষাঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ, চট্টগ্রামস্থ বিপিসি ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১০ বছর পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এ জনসভা সফল করতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জনসভা ঘিরে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।

আগামী ৪ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেটি শেষ করে ওইদিন পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস হয়ে জনসভায় আসতে পারেন। এটা বিবেচনা করে বিমানবন্দর থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত সড়ক সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। আবার বিকল্প হিসেবে টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার হয়ে সেনানিবাস পর্যন্ত সড়কও দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে। টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত অংশে পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ রেখে সড়কে কার্পেটিং করা হচ্ছে।

সর্বশেষ - Uncategorized