কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ★
কিশোরগঞ্জের পৌর শহরের আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের এখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির। যিনি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের সময় অনিয়ম ও জালিয়াতিসহ নানান অভিযোগ ওঠে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে। কেউ কেউ বলছেন, তার ইশারায় মূলত সম্প্রতি কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েক শিক্ষক আন্দোলন করেছে প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। পরে
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হুমায়ুন কবির স্কুলপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে খালেকুজ্জামান জুয়েলের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র দাস হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ওই বছরের ২২ এপ্রিল তৎকালীন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশীদ সরকার তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রেরণ করেন। যার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে এমপিওভুক্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে হুমায়ুন কবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েই বিদ্যালয় সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও আর্থিক লেনদেন করেন। এসব অভিযোগ তুলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য সভাপতি বরাবর অভিযোগও দায়ের করেন।
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জুলাই মাসের এমপিও তালিকায় অভিযুক্ত শিক্ষকের নামের পাশে এএইচএম আসেনি। ফলে সরকারিভাবে তিনি স্বীকৃত সহকারী প্রধান শিক্ষক নন।
এ বিষয়ে আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে জানি না। ২০১৮ সালে স্বাক্ষর জালিয়াতিও করি নাই।