অনলাইন ডেস্ক.
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বুধবার বিকেলে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকের পরেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
কালই যদি তফসিল ঘোষণা করা হয় তবে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার হুমকি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী।
মঙ্গলবার বিকেলে পল্টনের কার্যালয়ে দেশের ‘চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এক তরফা আত্মঘাতীর তফসিল ঘোষণা দেশবাসী মানবে না।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ছাড়া এক তরফা তফসিল ঘোষণা হলে আগামীকাল বিকেল ৩টায়, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত শেষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল হবে। এক তরফা তফসিল ঘোষণা দেশকে গৃহযুদ্ধের পথে নিয়ে যাবে। রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া একটি দলের ইচ্ছা পূরণের তফসিল দেশবাসী মানবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় না নিয়ে সমঝোতাবিহীন তফসিল ঘোষণা হলে নতুন করে দেশে সংকট তৈরি হবে এবং দেশ নিশ্চিত গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হবে।
প্রিন্সিপাল মাওলানা মাদানী বলেন, নির্বাচন কমিশন দলীয় সরকারের অধীনে তফসিল ঘোষণা করলে দলদাস হিসেবে চিহ্নিত হবে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের মতামত উপেক্ষা করে ইসি হাবিবুল আউয়াল কমিশন নির্বাচনের নামে জাতির সামনে আরেকটি তামাশার দ্বার উন্মোচন করতে চায়। কিন্তু জনগণ তা কোনোভাবেই মানবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
তফসিলের বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, কবে কখন তফসিল হবে কাল সকাল ১০টায় জানানো হবে। তিন দলকে দেওয়া মার্কিন চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণায় তার কোন প্রভাব পড়বে না।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।