নিজেস্ব প্রতিবেদক,
অটোরিক্সা চালক ইমরান মিয়া দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার ফুসফুসে ক্যন্সার ধরা পড়েছে গত ৬ মাস পূর্বে। ক্যান্সার থেকে আরোগ্যলাভ করে অটোরিক্সা পেশায় ফিরতে চানেইমরান। সন্তানকে স্বাভাবিক জীবনে দেখার জন্য জীবনের অর্জিত সকল সম্পদ উজাড় করে দিচ্ছেন বাবা ফেরিওয়ালা জামাল উদ্দিন। ইমরানের বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের নানশ্রী গ্রামে।
সম্প্রতি ইমরানের বাবা জামাল উদ্দিন কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, কয়েক দিন ধরে রাতে থেকে ইমরানের নাক মুখ থেকে রক্ত যাচ্ছে। তার খুব কষ্ট হচ্ছে। চোখের সামনে সন্তানকে এভাবে দেখতে ভালো লাগছে না। আল্লাহর কাছে সবসময়ই দোয়া করছি, তিনি যেন দ্রুত আমার কলিজার টুকরা সন্তানকে সুস্থ করে দেন। আমার সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন টাকার অভাবও দেখা দিয়েছে। আমার আর কিছুই থাকলো না। বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
দীর্ঘদিন যাবৎ ইমরান অসুস্থ ছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ৬মাস পূর্বে তার ক্যান্সার শনাক্ত হয়। তখন থেকে তার জন্য নিয়মিত তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ব্যায় হচ্ছে বলে তার বাবা জানান। এছাড়া যত সময় যাচ্ছে ততই সন্তানের খারাপ অবস্থা দেখছেন তিনি। শুধুমাত্র শেষ ১৫ দিনে ওষুধ এবং টেস্ট বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। টাকার অভাবে কেমোথেরাপি দিতে পারছেন না এই অটোরিক্সা চালক।
ইমরানের বাবা একজন ফেরিওয়ালা। পান সুপারি নিয়ে বিভিন্ন দোকানে ও বাজারে বিক্রি করে। এসব করে পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি যেটুকু সঞ্চয় করেছেন তার সবটুকু শেষ করেছেন। এমন পরিস্থিতি পরিবারের পক্ষে এখন চিকিৎসার ব্যয়ভার চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
ইমরানের এলাকার এক আবু হানিফ জানান, ছেলেটা ভদ্র এবং মেধাবী। তার এবং তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। আমরা যার যার অবস্থান থেকে তার জন্য আর্থিক সহায়তার হাত বাড়াই। আপনার একটু দানে একজন মানুষ বাচঁতে পারবে।
ইমরানের বড় ভাই মো. ওসমান জানান,কিছু পরিবারকে কিছুটা সহযোগিতা করি। গত তিন মাস ধরে ছোট ভাইয়ের জন্য কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। জমানো সকল টাকা তার পিছনে ব্যয় হয়েছে। সমাজের বিত্তবান মানুষের সহযোগিতা ছাড়া তার চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যার ফলে, ভাইকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সমাজের সকলের নিকট সাহয্যের আবেদন জানাচ্ছেন আনিসুর রহমান। সাহার্য পাঠাতে পারেন 0১৬১৮-৯৬৯৬৪৩ (পার্সোনাল বিকাশ ) নাম্বারে।